স্বাধীনদেশ অনলাইন : স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (বিএসএমএমইউ) থেকে পুনরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ শনিবার দুই ঘণ্টার বেশি স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর দুপুর দেড়টার দিকে তাকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দীন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ছিল।
এর আগে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। হাসপাতালটির নিউরো সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান ও সার্জারি বিভাগের ডিন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য তিন সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এই বোর্ডে যাঁরা আছেন তাঁরা নিবিড়ভাবে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন।
শনিবার খালেদা হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে বিএসএমএমইউ-এর জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার জানিয়েছিলেন, কেবন ব্লকের ৫১২ নম্বর কেবিন প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর আগে গত ১ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের অধ্যাপক মো. শামসুজ্জামান শাহীনের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি চিকিৎসক দল কারাগারে গিয়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে দেখতে বিএসএমএমইউতে যান তার ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। সাথে ছিলেন তার দুই মেয়ে। তারা গাড়ি থেকে নেমে কেবিন ব্লকে ঢুকতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। এরপর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে গাড়ির ভেতরেই কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন তারা। তখন তাদের ঘিরে জটলা করে ছিল জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের একদল নেতা-কর্মী। সেখানে স্লোগান দেওয়ার সময় চার-পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ।
তবে বিএনপি নেতা ও খালেদার তিন আইনজীবী মওদুদ আহমদ, মাহবুবউদ্দিন খোকন ও সানাউল্লাহ মিয়া বিএসএমএমইউতে ঢুকতে পেরেছিলেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়।